Bismilahir Rohmanir Rahim


Hot News »
Bagikan kepada teman!

বৃক্ষ

বৃক্ষ যেমন নিজ আলিঙ্গনে পৃথিবীময় সৌন্দর্য প্রকাশে অস্থির, আমরা তখন সেই সৌন্দর্য বিনষ্ট সাধনে তৎপর। আমরা আমাদের জীবনকে নিজ হাতে কবর দিচ্ছি। যদি পৃথিবী থেকে সুন্দর হয়, তখন আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।

আজ আমরা মরিয়া, নিজ দেশের আয়তন বর্ধিত করতে বৃক্ষ কে পৃথিবী থেকে উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়াকে আরও গুরুতর করে তুলছি।

কিন্তু কখনও কি ভেবেছি, যদি বৃক্ষ না থাকে তবে আমরা বাঁচবো কি করে?

মন্তব্য(গুলি) | | Read More...

বৃক্ষ

বৃক্ষ যেমন নিজ আলিঙ্গনে পৃথিবীময় সৌন্দর্য প্রকাশে অস্থির, আমরা তখন সেই সৌন্দর্য বিনষ্ট সাধনে তৎপর। আমরা আমাদের জীবনকে নিজ হাতে কবর দিচ্ছি। আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।

আজ আমরা মরিয়া, নিজ দেশের আয়তন বর্ধিত করতে বৃক্ষ কে পৃথিবী থেকে উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়াকে আরও গুরুতর করে তুলছি।

কিন্তু কখনও কি ভেবেছি, যদি বৃক্ষ না থাকে তবে আমরা বাঁচবো কি করে?

মন্তব্য(গুলি) | | Read More...

জীবনকে সহজ করার ১০টি উপায়

আমরা মাঝে মধ্যেই জীবন নিয়ে হতাশায় পরে যাই। অল্প কাজে অথবা অতিরিক্ত চিন্তায় হাঁপিয়ে পরি। এই ক্লান্তি ও হতাশা আমাদের সব ধরনের উন্নতিতে বার বার বাধা দিতে চায়। অনেক সময় মনোবল কমিয়ে আনে। কিন্তু এসব নিয়ে চিন্তা করা ছাড়া কখনও কি আমরা ভেবেছি যে, কোন ভাবে এই সমস্যা গুলোকে কমিয়ে জীবনকে সহজ করে নেওয়ার কোন উপায় আছে কিনা? আসলে আমরা তা কখনো করিনা। আজ তাহলে কিছু বিশেষ উপায় জেনে নেওয়া যাক যা আমাদের জীবনকে সহজ করে নেওয়ার মানসিক শক্তি দান করবে।

১) শান্ত থাকুন যখন কেউ আপনার সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলে


একসাথে আমরা প্রতিনিয়ত অনেকের সাথে ওঠা বসা করি, কাজ করি।  এক্ষেত্রে আমাদের সব সময় সবার সাথে মনমানসিকতা নাও মিলতে পারে।  অনেক ক্ষেত্রে মনোমালিন্যও হতে পারে। আপনার রাগও আসতে পারে, যা অতি স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে গৌতম বুদ্ধের একটি উক্তি আমরা মাথায় রাখতে পারি,


অর্থাৎ আপনি রাগটা পুষে রাখলে সেই রাগ অন্যের অপর প্রকাশের মাধ্যমে আপনি যতটা না অন্যের ক্ষতি করবেন তার চেয়ে বেশি ক্ষতি আপনার নিজের হবে। কারণ রাগ হচ্ছে একধরনের মানসিক ব্যাধি। এটি সেই ব্যাধি যা হচ্ছে সিগারেট এর মত। এক দুই দিনে কিছু করবে না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে আপনাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে।

কেউ যদি আপনার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে তখন তার কথার পাল্টা জবাব না দিয়ে নিজেকে সংযত রাখাটাই হচ্ছে আপনার ধৈর্যের প্রমাণ। এটি এক ধরনের মানসিক যুদ্ধ যা আপনাকে অন্যের তার্কিক আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। সেই সাথে আপনার মানসিক শান্তি রক্ষা করবে।

কারো সাথে তর্কে যাওয়ার আগে আমরা এটা মাথায় রাখতে পারি যে, আমাদে কাছে ২টি উপায় আছে, একটি হল তর্কে যোগ দেওয়া বা নিজের রাগকে বাড়ার সুযোগ দেওয়া যেটি ইতোমধ্যেই অনেক উত্তপ্ত অবস্থায় আছে অথবা দ্বিতীয়টি হচ্ছে এই অস্থায়ী ঝামেলাকে বাদ দেওয়া। আপনার কাছে যখন দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাহলে আপনি কেনই বা অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সেই সুযোগটিকে  হারাবেন।

তাহলে এই সঠিক সিদ্ধান্তটা বা শান্ত থাকলে আপনি সহজেই একটি ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।

২) আপনার চিন্তা গুলো লিখে রাখুন যখন আপনি অনেক চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন


আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু পরিকল্পনা থাকে। দিনের শুরুর পরিকল্পনা থেকে অনেক সময় জীবনের শেষ পর্যন্ত কি করব এমন বৃহৎ পরিকল্পনাও থাকে। কিন্তু এ পরিকল্পনা তো আর একদিনে হয়ে ওঠে না। অনেকদিনের চিন্তা, কল্পনা, অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ দীর্ঘমেয়াদী বৃহৎ পরিকল্পনা করে। এই কল্পনা শুধু নিজের থেকে নাও আসতে পারে। অনেক সময় আমরা অন্যের দেখেও অনেক কিছু শিখি, তাদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়েও অনেক সিদ্ধান্ত নেই।

কখনো কখনো দেখা যায় যে আমরা কোন বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত, অনেক ভাবছি। এতে করে দেখা যায় একই বিষয় বার বার ভাবতে ভাবতে বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমাদের মাথা থেকে অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় বের হয়ে যায়। উদ্বিগ্ন সময়ে আমরা অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ কিছু খেয়াল করতে পারি যা পরে মনে নাও থাকতে পারে।

এক্ষেত্রে আমাদের সর্বপ্রথম যা করা দরকার তা হল লিখে রাখা। আমাদের ছোট বড় যে কোন ধরনের কল্পনাই আমাদের লিখে রাখা দরকার। কারণ এটি আমাদের কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে। আমাদের কি কি করতে হবে আমাদের বার বার মনে করায় দেয়।


সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার ডোমিনিকান ইউনিভারসিটি একটি প্রতিবেদনে দেখিয়েছে যে, তারা যারা তাদের লক্ষ্য ও স্বপ্ন লিখে রাখে তাদের সফলতার হার যারা লিখে রাখে না তাদের চেয়ে ৪২% বেশি!

এজন্য আমাদের লক্ষ্যসহ যে কেনো কিছু যে কোন সময়ে চিন্তা করা কোন গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের সাথে সাথেই লিখে রাখার অভ্যাস করা দরকার। এটি আমাদের জীবনের লক্ষ্যকে আরো পরিকল্পিত করে তুলবে।

৩) তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন যদি মনে হয় সে আপনাকে মিথ্যা বলছে


আজকালকার সময়ে মানুষ বিভিন্ন কারণে অকারণে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। নিজের স্বার্থ অর্জনের জন্যে বা অন্য যেকোন কারণে মানুষ মিথ্যা বলে। এই মিথ্যার শিকার আমরা যে কেউই হতে পারি। কর্মক্ষেত্রে বা স্কুল কলেজে যাদের সাথে আমাদের ওঠা বসা বা কাজকর্ম তারা যে সব সময়ই আমাদের সাথে সত্য কথা বলবে এমন নাও হতে পারে, নিজেদের স্বার্থের কারণে আমাদের সাথে প্রতারণা করার চেষ্টা করতে পারে। এতে আমাদের মাঝে অনেক ক্ষেত্রেই সন্দেহ থেকে যায়। যাদের নিয়ে আমাদের ওঠা বসা তাদের নিয়ে সন্দেহ থাকলে জীবন অনেকটা কঠিনই হয়ে দাঁড়ায়।


এক্ষেত্রে আমাদের যদি কাউকে নিয়ে সন্দেহ হয়েও থাকে, তাহলে তা আমরা পরীক্ষা করে দেখতে পারি।

যাকে নিয়ে সন্দেহ কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বললে তার কথার সত্যতা ধরা যায়। একজন মিথ্যাবাদীর চোখই তার সত্যতার প্রমাণ। এতে করে আমরাও সাবধান হয়ে যেতে পারি। আমাদের জীবনের জটিলতা কমিয়ে আনতে পারি।

৪) সবার নাম মনে রাখুন যদি আপনি সকলের মাঝে জনপ্রিয় হতে চান


জনপ্রিয়তা একই সাথে এমন একটি দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান বিষয় যা কম বেশি আমরা সবাই  চাই। আমাদের অনেকের মাঝেই নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। আর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যে গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় হল জনপ্রিয়তা। কর্মক্ষেত্রে বা অন্য যে কোন জায়গায় মানু্ষের দৃষ্টি কেউ তখনই আকর্ষণ করতে পারবে যখন সে তাকে তার নিজের নাম ধরে ডাকবে। এতে করে সেই মানুষটির আপনার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। সে আপনাকে আপনার কাজে সহযোগিতা করবে। আপনাকে শ্রদ্ধা করবে। এভাবে যদি আপনি সবার সাথে চলতে পারেন তাহলে সবার মাঝেই আপনি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেন।

একজন মানুষ সাধারণত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার ব্যক্তিত্বের কারণে। এই সুন্দর ব্যক্তিত্বের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল যাদের সাথে কাজ করেন তাদের নাম মনে রাখা। এতে নাম মনে রাখলে তারা আপনাকে গুরুত্ত্বপূর্ণ ও পরিচিত ভেবেই কাজ করবে।


তাহলে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে আপনার অন্যের সাথে যোগাযোগের ক্ষমতাও বাড়বে। সকলের সাথে সম্পর্ক সহজ রাখার এটি একটি সহজ উপায়।

৫) আক্রমণকারীর পাশে গিয়ে বসুন যদি তার সাথে সংঘর্ষ এড়াতে চান


ঝগড়া-বিবাদ-মনোমালিন্য এইসব প্রতিনিয়ত লেগেই আছে আমাদের কারো না কারো সাথে যদিও বা আমরা চাই সবার সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে। কিন্তু এক্ষেত্রে কখনো যদি এর ব্যতিক্রম হয়ে যায় তখন আমাদের কি করা উচিত? ব্যাপারটা কখনো ঠিকমত নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সেটি আমাদের দিনটি সহ জীবনযাত্রাও কঠিন করতে পারে।

কখনো যদি আমাদের এমন মনে হয় যে পরিস্থিতি আমাদের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে বা বিবাদটা বেড়ে যাচ্ছে তখন আপনি ঝামেলা বাড়াতে না চাইলে সেই ব্যাক্তির পাশে গিয়ে বসতে পারেন যার সাথে আপনার ঝামেলা হচ্ছে। এতে সেই সময় সেই ব্যক্তির মানসিক পরিস্থিতির পরিবর্তন আসতে পারে। তার রাগ বা ক্ষোভ কমাতে এটি অনেক সহায়ক হবে। এতটুকু সে বুঝতে পারবে যে আপনি তার সাথে বিবাদে যেতে চাচ্ছেন না বা সমোঝোতা চাচ্ছেন। আপনার এই একটি পদক্ষেপই আপনার সম্পূর্ণ পরিস্থিতি পরিবর্তন করে আপনার মনকে নরম করে ফেলতে পারে। আপনাদের মাঝে সম্পর্ক ভাল করার সুযোগও আপনি পেতে পারেন।

কিন্তু আপনি যদি এভাবে সমোঝোতায় না গিয়ে পাল্টা কিছু করেন এতে করে আপনাকে নিয়েই বাজে ধারণা হবে এবং পরিস্থিতিও খারাপ হয়ে যাবে।

৬) কিছু কিছু বিকল্প সিদ্ধান্ত চিন্তায় রাখুন যখন আপনার সঠিক সমাধান জানা নেই


আমাদের জীবন কখন কোন দিকে যাবে এটা অনেকটাই নির্ভর করে আমরা কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি তার ওপর। জীবনের জন্যে বড় বড় সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আমাদের ছোট ছোট বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো কখনো সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় আমাদের পরিস্থিতি অনুযায়ী।

সব সময় পরিস্থিতি আমাদের হাতের মধ্যে থাকে না, আবার এমন কাজ হাতে পরে যায় বা বিপদে পরে যাই যে সেগুলোর সঠিক সমাধান আমাদের আন্দাজ করতে বা বুঝতে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

এমন ক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি? আমাদের সব সময়ই পরিস্থিতি আর আমাদের সুবিধা অনুযায়ী আমাদের কিছু বিকল্প ভেবে রাখতে হবে। প্রকৃত বিচক্ষণ তারাই যারা তাদের প্রতিটি পরিস্থিতি ও সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এতে আমাদের অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সময়ও বেশি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু বিকল্প কিছু মাথায় থাকলে আমাদের সেই সময়টুকু বেঁচে যায়। ব্যাপারটাকে আমরা ” Think twice & do wise ” এভাবে দেখতে পারি। এভাবে ভেবে রাখলে আমাদের জীবনে জটিলতার সম্ভবনা কম থাকবে।

৭) স্থান অনুযায়ী সঠিক ভঙ্গি জরুরী, এতে আপনার আত্নবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে


একজন মানুষের পরিচয়, ব্যবহার, স্মার্টনেস এইসব কিছু অনুধাবন করতে শুরু করে মানুষ সেই মানুষের অঙ্গভঙ্গি দেখে। বিশেষ করে বিভিন্ন অফিসিয়াল ক্ষেত্রে, শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিজেদের সুন্দর করে উপস্থাপন করার প্রয়োজন পরে।


এইসব জায়গায় প্রতিটি মানুষই চায় নিজেদেরকে অন্যদের কাছে পরিপাটি, আকর্ষণীয়, স্মার্ট ভাবে উপস্থাপন করতে। আর আমরা যদি সেইভাবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারি তাহলে অন্যদের কাছে তো বটেই সেই সাথে নিজের কাছেও নিজের আত্নবিশ্বাস বেড়ে যায়। কাজটি তখন আমরা আরো পরিপক্কতা, দক্ষতা ও আত্নবিশ্বাসের সাথে করতে পারি। আর এই অভিজ্ঞতা আমরা পরবর্তীতে নিজেদেরকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে। ব্যাপারটিকে একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যায়, আপনাকে যদি কোন প্রেজেন্টেশন বা উপস্থাপনা করতে দেওয়া হয় তাহলে আপনি প্রথমবার যদি নিজেকে ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারেন তাহলে আপনার সব জানা থাকলেও আপনার আত্নবিশ্বাস কমে যাবে।

কিন্তু আপনি যদি উপস্থাপনার শুরুতেই আপনার অঙ্গভঙ্গি ঠিক রাখেন আপনার মাথায় থাকবে যে আপনি ঠিকভাবে আগাচ্ছেন। এতে আপনার পরবর্তী ধাপ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতেও আমাদের আর ভয় লাগবে না, আত্নবিশ্বাস বেড়ে যাবে।

৮) কিছু মানুষ তৈরি করুন যারা আপনার প্রয়োজনে সাহায্যে এগিয়ে আসবে সব সময়


“There is no man but can live without the help of others.”


– এই উক্তিটি জানে না, এমন কেউ আমাদের মাঝে নেই। ছোট থেকে শুনে আসা এ উক্তিটি যদি আমরা যথার্থভাবে বুঝতে পারি তাহলে তা আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি মৌলিক সূত্রকে তৈরী করতে সাহায্য করবে।

আমাদের জীবনে বন্ধু বা এমন সম্পর্কের কারো প্রয়োজন অনেক, যারা রক্তের সম্পর্কের বাহিরেও সব সময় আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে, সাহায্য করবে। হ্যাঁ অনেকের হয়তোবা অনেক বন্ধুই রয়েছেন কিন্তু এমন কয়জনই বা আছে যারা নিঃস্বার্থভাবে যে কোন সময়ে আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসবে? বাস্তব জীবনে আমাদের এমন কাউকেই বেশি প্রয়োজন পরে। হাজার হাজার বন্ধু বানিয়ে তারা যদি প্রয়োজনে আপনার পাশে এসে দাঁড়ানোর সাহস না দেখাতে পারে তাহলে সেই সম্পর্কই ব্যর্থ। কিন্তু আপনি যদি একজনই প্রকৃত বন্ধু খুঁজে নিতে পারেন তাহলে আপনার সেই বন্ধুই আপনাকে বার বার বিপদ থেকে উদ্ধার করতে চলে আসবে আর বিনিময়ে আপনাকে কিছুই করতে হবে না। বন্ধুর সাথে ব্যাপারটা যেন কখনো,
“A friend in need & a friend in deed.” -এমন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখলে এই মানুষগুলোও আপনার জীবন সহজ রাখতে সাহায্য করবে।

৯) কারো সাথে প্রথম দেখায় তার সম্পর্কিত কিছু মনে রাখুন এতে তার সাথে বন্ধুত্ব সহায়ক হবে


নিত্যদিনের প্রয়োজনে একজন সত্যিকারের বন্ধু বানাতে আমরা সবাই চাই। এখন আমাদের মধ্যে অনেকেই বেশি খোলামেলা, সহজে সকলের সাথে মিশতে পারে না। তাদের মধ্যে জড়তা থাকে। এক্ষেত্রে আমরা বন্ধু বানাতে চাইলেও কিভাবে বানাতে পারি?

কাউকে বন্ধু বানাতে চাইলে প্রথম দেখায় সে আপনার ভাল বন্ধু এমনকি বন্ধুই না হতে পারে। তাই আপনার যখন তার সাথে প্রথম দেখা হবে তখন তার বিষয়ে কোন গুরুত্ববপূর্ণ বা মজার বিষয় বা এমন কিছু যা আপনার ভাল লেগেছিল তা মনে রাখবেন। পরবর্তীতে যদি সে বুঝতে পারে বা খেয়াল রাখে যে আপনার তার এই ব্যাপারগুলো মনে আছে, এটি তার ভাল লাগবে। সেও তখন তার দিক থেকে একধাপ এগিয়ে আসবে। এমনকি এমন কিছু যা আপনাদের মধ্যে মিল রয়েছে তাও আপনি তাকে জানাতে পারেন।

“Friendship is born at that moment when one person says to another: “What! You too? I thought I was the only one.” – C.S. Lewis


আসলে সত্যি কথা তাই যে, বন্ধুত্ব শুরু তখনই যখন আপনি ঠিক আপনার মনের মত আরেকজনকে খুঁজে পাবেন। এই বিষয়গুলোও আপনি তার সামনে তুলে ধরতে পারেন বা নিজেই মনে রাখতে পারেন।

১০) কিছু মানুষের সাথে অপ্রয়োজনেও যোগাযোগ রাখবেন, তাদের কাছে আপনার মূল্যায়ন অনেক বেশি


আজকাল আমরা একটা জিনিস খুব ভালভাবেই মানিয়ে চলি আর তা হল ” নেটওয়ার্কিং “। হ্যাঁ সময়ের প্রয়োজনের সাথে সাথে আমাদেরও নিজস্ব দক্ষতা বাড়াতে অন্যদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়। আমরা সকলেই এমনটা করি কেননা তারা আমাদের প্রয়োজনের আসেন।

কিন্তু কিছু মানুষ আছেন আমাদের জীবনে যাদের সাথে হয়তোবা আমাদের সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রয়োজন থাকে না। তাই হয়তোবা সময়ের ব্যস্ততার কারণে আমাদের তাদের সাথে যোগাযোগই থাকে না। কিন্তু সেই মানুষদের আমাদের কখনওই ভুলে যাওয়া উচিত না যারা প্রয়োজন ছাড়াও আমাদের মনে রাখে, আমাদের না ডাকা সত্ত্বেও আমাদের পাশে থাকে, যাদের কাছে সব সময়ই আমাদের উপস্থিতির মূল্য থাকে। এই মানুষগুলো সব সময় বিপদে- আপদে, আপনার সুখে-দুখে আপনার পাশে থাকবে। আর এই মানুষগুলো হতে পারে যে কেউই। হতে পারে আপনার কাছের বন্ধু, আবার হতে পারে এমন কেউ যাকে আপনি কোন এককালে সাহায্য করেছেন যার বিনিময়ে তার কাছে আপনার মূল্যবোধ বেড়ে গিয়েছে।

দিন শেষে, ব্যস্ততার আড়ালে এই মানুষগুলোই আপনার পাশে থাকে আর এরাই আপনার জীবনযাপন সহজভাবে করতে সাহায্য করে।

সত্যিকার অর্থে দৈনন্দিন জীবনে এমন কোন বস্তুময় জিনিস নাই যা আপনাদের আমাদের জীবনকে সহজ করে দিতে পারে। জীবন এমনই। ছোট বড় বন্ধুর পথে ঘেরা। এই জীবনকে সহজ করতে সত্যিকার অর্থে আপনার যা দরকাদ তা হল শক্তি। আপনার মানসিক শক্তি। আপনার বোধগম্যতা, কোন কিছুকে মানিয়ে ও চালিয়ে নেওয়ার দিক এবং আপনার  দৃষ্টিভঙ্গি। উপরোক্ত কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে সেগুলো আপনার মানসিক শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

লেখাটি  কপি করেছি   https://spikestory.com/10-ways-to-have-a-easy-life/
মন্তব্য(গুলি) | | Read More...

কঠিন পরিস্থিতিতে মেনে চলুন এই ৫টি নিয়ম

জীবন পুষ্পশয্যা নয়। কাঁটা বিছানো পথেই চলতে হয়। জীবন সুন্দর হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা। জীবনের কিছু সময় থাকে যখন আপনি চূড়ান্ত পর্যায়ের সুখের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন আবার এমন সময় ও আসে যখন আপনি চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। জীবন তাঁর নিজস্ব নিয়মেই আপনাকে পরীক্ষা করে থাকে যেখানে আপনার পছন্দ করার কোন সুযোগই থাকেনা কিন্তু জীবন চলার পথে আপনাকে সবকিছুই মোকাবিলা করতে হয়। হতাশ হবেননা প্রতিটা মানুষকেই কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বাস্তবতাকে এড়িয়ে না গিয়ে বরং এর মুখোমুখি দাঁড়ান এবং কিভাবে মোকাবেলা করবেন তা শিখুন। কঠিন সময়ে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই আসুন।
১। কথা বলুন
আপনি যখন কোন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাবেন তখন আপনার কষ্টের কথা কারো সাথে শেয়ার করুন। যাকে আপনি বিশ্বাস করেন এমন কারো কাছে আপনি আপনার অশান্তির ও কষ্টের সকল কথা বলুন। এর মাধ্যমে আপনি হয়তো কোন সমাধান খুঁজে পাবেন না কিন্তু আপনি অনেক ভালো অনুভব করবেন।
২। ইতিবাচক থাকুন
এই কথাটি গতানুগতিক মনে হবে কিন্তু এটা আসলেই সত্যি। কঠিন সময়ে ইতিবাচক থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন ইতিবাচক থাকবেন তখন আপনি খারাপ সময়েও নিজেকে ভালো অবস্থানে রাখতে পারবেন এবং নিজে একজন ভালো মানুষ হতে পারবেন। জীবনে যখন খারাপ সময় আসবে তখন আপনি দুইটা জিনিষ একসাথে করতে পারেন। আপনি ইতিবাচক থাকবেন এবং নিজেকে মনে করিয়ে দিবেন যে, অন্ধকার সুড়ঙ্গের পরে অবশ্যই আলো থাকে যা অন্ধকারকে দূর করে দেয়।
৩। নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন
আপনি যখন ব্যাস্ত থাকবেন তখন আপনার সমস্ত যন্ত্রণা গুলো ভুলে থাকতে পারবেন।  অলস সময় কাটাবেননা, কারণ অলস সময়ে খারাপ দিক গুলোর দিকেই আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হবে যার ফলে আপনি সেই বিষয়েই চিন্তা করতে থাকবেন যা আপনাকে কোন সাহায্যই করবেনা। কিছু না কিছু কাজ করার চেষ্টা করুন।
৪। গ্রহণ করুন
Marter বলেন- ‘যা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না তা হতে দিন’। আপনার প্রতিদিনের এমন কিছু বিষয়ের তালিকা করুন যা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। তালিকার এই বিষয় গুলো নিয়ে চিন্তা করাও বন্ধ করে দিন। ধ্যান বা প্রার্থনার সময় মনের চোখে দেখুন যে, আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয় গুলো আপনার উচ্চ ক্ষমতার কাছে হস্তান্তর করছেন এবং এগুলো চলে যাচ্ছে। তারপর যে বিষয় গুলো আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন যেমন- আপনার শব্দ, আপনার কর্ম এবং আপনার সিদ্ধান্ত এগুলোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন।
৫। কৃতজ্ঞ হওয়ার মত অনেক কিছুই আছে জীবনে
হাসি জীবনকে ভালো রাখে। আপনাকে ঘিরে যে সৌন্দর্য গুলো আছে সেগুলো দেখুন এবং হাসুন। জীবনের ছোট খাট জিনিস গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ হোন। এই ছোট খাট জিনিস গুলো যখন একত্রিত করবেন তখন আপনি দেখবেন যে এরা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, সুখ আপনাকে কৃতজ্ঞ করেনা কিন্তু কৃতজ্ঞতা আপনাকে সুখি করে। 

লিখেছেন-
সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম
মন্তব্য(গুলি) | | Read More...

বাস্তবতা

একটা ছোট্ট বাবুকে শিখালাম কিভাবে ভেংচি কাটতে হয়। সে জীবনের প্রথম ভেংচিটা আমাকেই কাটল!
ভাগ্নীকে শিখালাম, "লেখাপড়া করে যে, বাড়ী-গাড়ী গড়ে সে।" ভাগ্নী আমাকে মনে করিয়ে দিল আমার কোন বাড়ী-গাড়ী নেই!
বন্ধুকে কঠিন ভাষায় শিখালাম সিগারেট খাওয়ার অপকারিতা। বন্ধু আমাকে সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিল সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা!
একটা মেয়েকে শিখালাম কিভাবে বিশ্বাস অর্জন করতে হয়। মেয়েটা আমাকে শিখাল কিভাবে বিশ্বাস ভাঙতে হয়!
একটা ছেলেকে শিখালাম কিভাবে ছবি ট্যাগ করতে হয়। সে প্র্যাকটিস স্বরুপ আমাকে কুত্তা, বিলাই, বান্দর মিলিয়ে মোট ১৭টি ছবি ট্যাগ করল!
একটা আপুকে শিখালাম কিভাবে ফেইসবুক ব্যবহার করতে হয়। এখন উনি আমাকে শেখান কিভাবে ফেইসবুক সেলিব্রেটি হওয়া যায়!
কলেজের বড়ভাইকে শিখালাম কিভাবে প্রেম করতে হয়। এখন তিনি আমার গার্লফ্রেন্ডকে প্রেমশিক্ষা দেন!
মন্তব্য(গুলি) | | Read More...

পৃথিবীর অবাক করা কিছু সীমান্ত

বিডিলাইভ ডেস্ক: পৃথিবীতে এমন কিছু সীমান্ত আছে যেখানে নেই কোনো কাঁটাতারের বেড়া, নেই সীমান্তরক্ষীও। কোথাও কোথাও নদী বিভক্ত করেছে একাধিক দেশকে, আবার কোথাও শুধু কাগজে কলমে আছে বিভক্তকারী রেখা। 

সীমান্তের এপারে-ওপারে দাঁড়িয়ে খেলা যায়। কোথাও আবার একসাথে বসে চা পান করছেন দুজন, কিন্তু একজন একদেশে, অন্যজন আরেক দেশের! কখনো কখনো এক পা একদেশে অন্য পা আরেক দেশে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেউ।

বিশ্বে অবাক করা এমন অনেক সীমান্ত রয়েছে। তাহলে দেখে নিন এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সীমান্ত। 

১. মাছের ছবির ওপর দিয়ে যাওয়া রেখাটির বাম দিকে পোল্যান্ড। বিপরীত পাশে ইউক্রেন

২. ছোট্ট নদীটির দুই ধারে স্পেন ও পর্তুগাল। একটি জিপলাইন ধরে এক দেশের লোকজন অন্য দেশে যেতেও পারে

৩. এই চেয়ারগুলোর পাশে এনএল লেখা অংশটা নেদারল্যান্ডসের। আর তার পাশে বি লেখা অংশটা বেলজিয়ামের। দুই দেশকে বিভক্ত করতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি রেখা ও কিছু প্লাস (+) চিহ্ন

৪. একই ঘরের এক পাশে উত্তর কোরিয়া। বিপরীত পাশে দক্ষিণ কোরিয়া। মাঝখানে কংক্রিটের ছোট্ট একটা বিভাজক। ছবিটির সামনের অংশের রক্ষীরা দক্ষিণ কোরিয়ার।

৫. পাহাড়ের বুকে সর্পিল যে রাস্তাটি দেখা যাচ্ছে, সেটি বিভক্ত করেছে ক্যারিবীয় দেশ হাইতি ও ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রকে

৬. পাশাপাশি তিনটি বিন্দুতে মিলিত ইউরোপের তিন দেশ জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের সীমান্তরেখা

৭. সেতুটির বাম পাশে সৌদি আরব। ডানে বাহরাইন

৮. দুই পা দুই দেশে এক পা নরওয়ে আরেক পা সুইডেনে!

৯. ঘনসবুজের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা নদীর বাঁয়ে আর্জেন্টিনা, ডানে প্যারাগুয়ে। আর মধ্যভাগে ব্রাজিল

১০. ছবি দেখে মনে হতে পারে মাঝখানে বিভাজক দিয়ে পাড়ার ছেলেরা ভলিবল খেলছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। মাঝখানের বিভাজকের এক পাশে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য পাশে মেক্সিকো

১২. পিচঢালা রাস্তায় সাদা রঙে লেখা দুই দেশের নাম। বাঁয়ে সুইডেন আর ডানে নরওয়ে

সংগৃত ঢাকা, ডিসেম্বর ১৯(বিডিলাইভ২৪)

 

মন্তব্য(গুলি) | | Read More...

বন্ধ দ্বারের ওপারে ঐকতান

“হতাম যদি সোনালী ডানার চিল,

আকাশের বিন্দু থেকে মেঘ এনে দিতাম তোমার ডানায়”
কখনো কি ব্যস্ত শহরের টেবিলে চাপা পড়া জানালাটিকে খুলে দেখা হয়! প্রতিদিন সূর্যের সাথে সাথে জেগে উঠে প্রকৃতি। তারপর পড়ন্ত বিকেলে ভারি কাঁচের ওপার দিয়ে অভিমান নিয়ে চুপটি করে চলে যায়। কম্পিউটার স্ক্রীনে লেমিনেটিং হয়ে গেছে আমাদের চোখ। অনুভূতিগুলো বাক্সে বন্দি হয়ে ড্রইংরুমে সাজানো। তাই উত্তাল হাওয়ায় আমাদের ভেসে যাওয়া হয় না।
কিন্তু আত্মার দাবিকে কতক্ষণ উপেক্ষা করা যায়? অলস দুপুরে ক্লান্ত বইয়ের পাতায় চোখ বুলাতে বুলাতে যখন পলক বুঁজে আসে, ঘুমন্ত দুপুরের অসাড়তাকে বিদীর্ণ করে উড়ে যাওয়া কাকের চিৎকার কি চকিতে ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যায় না? চোখের ঘুম না, জেগে জেগে ঘুমানো ঘুম। কৃত্তিমতার নেশায় ডুবে থাকা ঘুম।পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখা মোহটা ভেঙে যায়।বয়ে চলা স্রোত থেকে টেনে তুলে নিয়ে আসে শিকড়ের দাবি। অনেক মাটি, ময়লা আবর্জনা হয়ত জমেছে তার উপর কিন্তু শিকড় রয়ে যায় তবু। শিকড়ের দাবি বদলায় না।  আত্মার দাবি তাদের শিকড়ের সব গুলো শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে মনের ভিতর আঁকড়ে বাসা বাঁধে। জোর করে আর চোখ বুঁজে থাকা যায় না তখন।শিকড়ের টান,অস্তিত্বের আবেদন, সেই অস্তিত্বের প্রতি ভালোবাসা আর উপেক্ষা করা যায় না। চুপি চুপি মনের কথাটি কানের কাছে এসে গুনগুনিয়ে যায়।
“ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো– তোমার
মনের মন্দিরে।
আমার পরানে যে গান বাজিছে
তাহার তালটি শিখো– তোমার
চরণমঞ্জীরে॥”

পাখিদের তাই আমার খুব হিংসে হয়, দুই দিকে ডানা ঝাপটে চোখ বন্ধ করে আকাশে ভাসতে কেমন লাগে আমার খুব জানার ইচ্ছে। আকাশটার উপর তখন থাকবে আমার মনের মত অধিকার, যখন তখন থাকবে আমার আনাগোনা। আর ছাদে উঠার প্রতীক্ষায় থাকতে হবে না। বুভুক্ষের মত কিছুক্ষণের জন্য গলা বাড়িয়ে আকাশের পানে চেয়ে থাকতে হবে না। মুক্ত বিহঙ্গের জীবন চাই, শুধু প্রকৃতির কাছে থাকার জন্য, আকাশটা ছোঁয়ার জন্য, গাছের ডালে বসার জন্য, রংধনুর রঙে খেলা করার জন্য……
ভাবতেই কেমন লাগে- মেঘগুলো স্পর্শ করে থাকবে আমার ডানা! কেমন হবে সেই অনুভূতি? আমার খুব জানার ইচ্ছে। আর তখন যদি বৃষ্টি হয়? মেঘের ভাঁজে লুকিয়ে থাকলে কি গায়ে বৃষ্টি পড়বে? বৃষ্টিকে কত কাছ থেকে ছোঁয়া যাবে তখন!
লম্বা একটা শ্বাস নিতে ইচ্ছা করে, তাতে যদি আকাশ আর আমার অস্তিত্বটা মিলেমিশে এক হয়ে যেত……
 
যখনই খুব মন খারাপ থাকে, বিশাল আকাশ দেখি। বিশালতায়, বিশুদ্ধতায় হারিয়ে যাই।
তুলোর মতো মেঘগুলো যখন দেখি তখন শুভ্রতা ছুঁয়ে যায়। মনে হয় যেন বুক ভর্তি করে সতেজ বাতাস নিলাম। মনটা তখন অস্থির হয়ে যায়। মেঘ ছুঁয়ে যাওয়া বাতাস মনে পাগল করে দেয়। ইচ্ছা করে ছুটে যেয়ে মেঘের উপর একটা বাড়ি করি। মেঘের সাথে বসবাস করি, মেঘের বাড়িতে থাকবে আমার নিমন্ত্রণ, আমার বাড়িতে মেঘের!  মেঘের দিকে কত ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থেকে পার করে দিলাম তার সীমা ওই মেঘের মতোই অস্পৃশ্য। হাঁটতে হাঁটতে যখন মেঘের দিকে তাকাই, এক পরম প্রশান্তি মন ছুঁয়ে যায়, এ যেন প্রিয়তম কোনো বন্ধুর হাত ধরে পথ চলা।
আকাশ নাকি ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। কই আমার তো এমন মনে হয় না। সারাক্ষণ যে আকাশটা মনকে দোলা দিয়ে যায়। এ যেন জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক……
আকাশ আর পাহাড়ের সীমাটা কোথায়? খুব ছুঁয়ে যেতে ইচ্ছা করে পাহাড়ের ঘাড়ে আকাশের নিঃশ্বাস, দেখতে ইচ্ছা করে আকাশে মোড়ানো পাহাড়টা।
ওই ছোট্ট ঝোপে যদি জীবনটা কাটিয়ে দেয়া যেত! পাহাড়ের গায়ে ছোট্ট একটা দ্বীপ-আজন্ম লালিত সাধ।
মাথার উপর আকাশ, জমাট জমাট সাদা মেঘ, হঠাৎ এক পশলা নীল, পা ছুঁয়ে যাওয়া পানির স্রোত, চোখের সামনে নির্মল প্রকৃতি- এ যেন আমারই সত্ত্বা , পানিতে সবুজের প্রতিফলন- যেন আমারই অস্তিত্ব দর্পণ হয়ে আমার মনে পদার্পণ।
হতো নাহয় নৌকায় আমার বাড়ি, ওপারেতে যেতাম বন্ধুর বাড়ি, নৌকার পাটাতনে বসে ছবি আঁকতাম আর পা দোলাতাম। চোখ খুলে সবুজ দেখা, আঁজলা ভরে পানি নিয়ে মুখে ঝাপটা দেয়া, নৌকার গলুইতে শুয়ে রাতে মাথার উপর লম্বালম্বি আকাশে তারা দেখতে দেখতে ঘুম দিতাম আর ভোরে উঠে এই দৃশ্য দেখতাম। সত্যি বলছি- চশমাটা তখনই খুলে পানিতে ফেলে দিতাম। এখানেই আমার পৃথিবী শুরু, এখানেই শেষ! আমার সামনে শুধু সবুজ থেকে যাক, স্পর্শে আমার থাক সবুজ বাতাস। মুঠো ভর্তি করে যদি সব সবুজ নিয়ে নিয়ে নিতে পারতাম! যখন তখন গালে স্পর্শ বুলাতাম, প্রকৃতির সাথে মিশে যেতাম মাটির ভেজা ঘ্রাণ নিয়ে।
নিজের কাছ থেকে কতক্ষণ দূরে সরে থাকা যায়? ই ছায়াশীতল আশ্রয় থেকে কত দূরে থাকা যায় যেখানে পড়ে থাকে নিজের মন, যার অভাবে অন্তঃসার শূন্য হয়ে শুকাতে থাকে।
যেখানে অস্তিত্বের অস্তিত্ব থাকে-সেখানেই তো নিজের সত্ত্বাকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করা—-
তুমি যদি বলো এখনি করিব বিষয়  -বাসনা বিসর্জন।
দিব শ্রীচরণে বিষয়–
দিব অকাতরে বিষয়–
দিব তোমার লাগি বিষয়  -বাসনা বিসর্জন।

কিন্তু বিসর্জন দেয়া হয় না। দিন শেষে একটু বেশিই ভয়ে কুঁচকে যাই চাকচিক্য কমে যাবার। পাছে পিছিয়ে পড়ি সেই আশংকায় দৌড়ে যাই সবাইকে টপকে যেতে। দামি আসবাবপত্র নষ্ট হবার দুশ্চিন্তায় জানালার কাঁচ আরেকবার টেনে দেই আর আরেকবার বৃষ্টির মৃত্যু হয়…… শহরে তো প্রাচুর্যের কোনো অভাব নেই,বরং একটু বেশি মাত্রায়ই থাকে। রঙগুলো বড় বেশি রঙিন, সাদা মাটা ‘সাদা’ না। বাতাসে ভেসে বেড়ায় চিকেন-ফ্রাই আর ফ্রাইড রাইসের সুবাস,শুধু থাকে না মাটির সোদা ঘ্রাণ। দামি পারফিউমের মন মাতাল করা সৌরভ থাকে, তাই ঘামের দুর্গন্ধ দুর্গন্ধই থেকে যায়। উচ্চ শব্দে মিউসিক প্লেয়ারের অনাচারের রাজত্বে পাখির ডাক চুরি হয়ে যাচ্ছে, কারো মনে তা হা-হুতাসও তৈরি করে না……
মাঝে মাঝে নিজের নিঃশ্বাসে নিজেই চমকে উঠি! কি ভয়াবহ বিষাক্ত নিঃশ্বাস। এই বাতাস নিজের ভেতরে রেখে কীভাবে দিনের পর দিন বেঁচে থাকছি? তবুও তো বেঁচে আছি। ড্রইংরুমের আরেকটা শো-পিস বাড়ানোর জন্য, যান্ত্রিক ভাবমূর্তিটিকে আরো একটু চৌকষ করার জন্য, নিজেকে দিয়ে নিজের চতুর্দিকে দেয়াল গড়ার জন্য। সেই অতি উচ্চ প্রাচীর ভেদ করে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না, গাছের ডাল মাথা দোলায় না, মেঘের কোলে রৌদ্রছায়া লুকোচুরি খেলে না। আকুলি বিকুলি করা দূষিত বাতাসটাকে তাই মাঝে মাঝে ছুটি দেয়া উচিৎ। তাতে সবুজ একটু হাঁফ ছাড়তে পারবে, দিতে পারবে বিশুদ্ধ বাতাস, চোখ বুঁজে নিব সিক্ত বাতাস, প্রাণপাখিকে দিব মনের মত ডানা মেলতে………(সংগৃহিত)
মন্তব্য(গুলি) (1) | | Read More...

ছন্নছাড়া মেঘ আর তোমার গল্প

আজকাল প্রায়ই আমার কোন কারণ ছাড়া বিষণ্ন লাগে। ছন্নছাড়া মেঘের মত বিষণ্ণ লাগে, একলা চিলের মত বিষণ্ণ লাগে, নিশ্চুপ পাহাড়ের মত বিষণ্ন লাগে। বৃষ্টিধোয়া বিকেলে ঠিক তোমারই মত আমারও বিষণ্ন আর একা লাগে। তোমারও কি কখনো এমন হয়? যখন তুমি ক্লাসে অন্য সবার মত একজন হয়ে উঠতে পার না? যখন স্কুলজীবনের মত ভাল ফলাফল করে রেজাল্ট কার্ডটা আব্বু-আম্মুর হাতে তুলে দিতে পার না আর তাদের চোখে চিকচিক করে জ্বলতে থাকা আনন্দের জলটুকু দেখতে পাও না? ভালোবাসার মানুষটি কি তোমাকেও কষ্ট দিয়ে চলে যায়? প্রিয় বন্ধুরা কি ভুল করে তোমায় ফেলে আড্ডায় মেতে ওঠে? কাছের মানুষগুলো কি তোমার পেছনে অনবরত তোমায় নিয়েই ব্যঙ্গ করে? পরিবারের একান্ত মানুষগুলো কি তোমায় বুঝতে পারে না কিংবা বুঝলেও ভুল বোঝে? তোমার সহোদরও কি তোমারই সামনে ভুল পথে হেঁটে যায়?
আজকাল প্রায়ই আমার কোন কারণ ছাড়া বিষণ্ন লাগে। তোমার মত ঐ বিমর্ষ একাকী কষ্টের কারণগুলোকে যে আমি কারণ বলেই মনে করি না! তাই আজকাল আমার কোন কারণ ছাড়াই বড্ড একা আর বিষণ্ন লাগে। মনে হয় এই পৃথিবীর বৃত্ত জুড়ে কেবল আমি একা বসবাস করছি। আমি- এমন একজন যে শূন্য, রিক্ত। হয়ত আমাকে সবাই দেখতে পায় তবু জানি আমি শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই নই।
“বড় একা আমি
নিজের ছায়ার মত
শূন্যতার মত
দীর্ঘশ্বাসের মত
নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মত
নির্জন নদীর মত
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত
মৌন পাহাড়ের মত
আজীবন সাজাপ্রাপ্ত দন্ডপ্রাপ্ত আসামির মত
বড় একা আমি, বড় একা “
আমি জানি, তোমার আর আমার মাঝে কোন পার্থক্য নেই। কারণ কম-বেশি আমরা সবাই নিজের থেকে বিছিন্ন, নিঃস্ব হয়ে বেঁচে থাকি। নিজেকে নিয়ত ভাঙ্গি-গড়ি; সমস্ত কষ্ট, না পাওয়ার আড়ালে নিজেকে প্রবোধ দেই। নিজের কাছে নিজেকে শতেকবার বিক্রি করি আবার সস্তায় বিক্রি হয়ে যাওয়া পুরনো সেই আমিকে কিনে নেই নতুন করে।
আমি জানি, তুমি বারবার চিন্তা কর নতুন কোন কষ্টে আর নিজেকে জড়াবে না, কারো অবহেলায় দুঃখ পাবে না, নিজের হীনমণ্যতায় আর একাকী কাঁদবে না। তবু তুমি কষ্ট পাও, দুঃখ পাও, একাকী কাঁদ কেননা তুমি চেষ্টা করেও তোমার চোখের সামনে নতুন কোন ছবি আঁকতে পার না। কারণ সবাই তোমায় বলে যে তোমাকে অন্যদের মত জনপ্রিয় হতে হবে, সুন্দর হতে হবে, তোমাকে দামী কসমেটিকস ব্যবহার করতে হবে, এমনকি প্রয়োজনে সার্জারিও করাতে হবে। তোমাকে সবাই বলে যে তোমায় স্লিম হতে হবে, আকর্শনীয় পোশাক পরে ফেসবুকে চমৎকার সব প্রোফাইল পিকচার দিতে হবে। তারপর ধুন্ধুমার সব স্ট্যাটাস দিয়ে অজস্র মানুষের লাইক পেতে হবে। তোমার পরিবারেও ঠিক তাই ঘটে। সবাই বলে যে তোমাকে ঐ আত্মীয়ের মত সর্বগুনে গুনান্বিত আর চটপটে হতে হবে। সর্বোপরি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমাকে মানুষের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠতে হবে।
কিন্তু জানো, তোমার চারপাশে এঁকে দেয়া এই ছবিটাই ভুল, কেবল মায়াজাল মাত্র। এই ছবির বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে তুমি প্রতিদিন আরও ক্লান্ত হয়ে পড়বে, হেরে যেতে থাকবে, ছবির মত হতে না পারার অসহায়ত্ব তোমাকে কুরে কুরে খাবে।
আজকাল প্রায়ই আমার কোন কারণ ছাড়া বিষণ্ন লাগে। বিষণ্ন হবার মত কোন কারণ আজ আর আমি খুঁজে পাই না, যেমন করে তুমি কিংবা তোমরা পাও। কারণ আমি অন্য কারো কথাকে, সিস্টেমের এঁকে দেয়া প্রোগ্রাম করা পুরো ছবিটাকে আজ আর পাত্তা দেই না। হয়ত তোমার মনে হতে পারে যে এই অভ্যাস তৈরি করার জন্য প্রচণ্ড মানসিক শক্তির প্রয়োজন। কিন্তু আদতে তা নয়, তোমাকে শুধু বুঝে নিতে হবে দুর্ভাগ্যবশত বেশিরভাগ মানুষের ভেতর সতেচনতাবোধের অভাব থাকে। তোমার শুধু মনে রাখতে হবে যে তোমার জীবনে আরো অনেক ছোট ছোট বাঁক রয়েছে পরের অধ্যায়গুলোতে যাবার জন্য। নিন্দুকদের দেখা তুমি সবসময় পাবে, তোমার জীবনের সবগুলো অধ্যায়ে, যে কোন বয়সে।
সবার মত হতে পারাটা বড্ড সোজা আর ঠুনকো। তুমি হবে তোমার নিজের মত, আর কারো মত নয়। আর সে কারণে তোমাকে আরও বেশি শিখতে হবে, আরও বেশি জানতে হবে, আর এই শেখা আর জানার জন্য কেবলমাত্র প্রচুর বই পড়তে হবে। নিজের চিন্তাশক্তিকে উজ্জীবিত করতে, নিজের ভেতরে নতুন চেতনাবোধের চাষ করতে, পুরো বিশ্বাসের প্রক্রিয়াকে পালটে দিতে, নিজের দুর্বল বোধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আর সেই লড়াইয়ের শক্তিকে মনের ভেতর সঞ্চয় করে রাখতে দরকার দক্ষতা, যা কেবল শেখা আর পড়ার মাধ্যমেই সম্ভব।
যখন সবকিছু তোমার বিপরীতে যাবে তখন এই সবকিছুর বিপরীতে কখনো উদাসীন হবে না। কারণ এই উদাসীনতা, আক্ষেপ, যন্ত্রণা এগুলো বেশ সহজ বরং এই সবকিছুর বিপরীতে উঠে দাঁড়ানোটাই কঠিন, যার জন্য দরকার সাহস ও উদ্যম। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল তোমার মাঝে এই দুটোর ভেতর অন্তত একটা গুনাবলীর অস্তিত্বও ঠিক সেই বিষণ্ন মুহূর্তে থাকবে না। সবচেয়ে বড় কথা, এই একা উঠে দাঁড়ানোতে তোমাকে কেউ কোনদিন ধন্যবাদ জানাবে না। তাই যখন তুমি একা লড়াই করতে করতে ভেঙ্গে পড়বে, ক্লান্ত হবে তখন কোন এক শরতের বিকেলে কোন এক ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ছায়ায় আমাকে খুঁজে পাবে। আমি তোমার জন্য সেখানে অপেক্ষা করে থাকব কারণ আমি জানি, তুমি এমন একটা কাজ করেছ যেটা সবাই পারে না, আমরা কেউ পারি না, আমরা কেউ পারি নি।
আজকাল প্রায়ই আমার কোন কারণ ছাড়া বিষণ্ন লাগে। বিষণ্ন হবার মত কোন কারণ আজ আর আমি খুঁজে পাই না। বিমর্ষ, অন্ধকারাচ্ছন্ন, নিশ্চুপ শরতের মৌনমুখর মেঘগুলোর হয়ে তাই আজ আমি একাকীত্বের লড়াইয়ে জয়ী হওয়া এই তোমাকে বলছি,
( সংগৃহিত)
মন্তব্য(গুলি) | | Read More...

বন্ধু মোরা কজন

বন্ধু তোমার চোখের মাঝে চিন্তা খেলা করে
বন্ধু তোমার কপাল জুড়ে চিন্তালোকের ছায়া,
বন্ধু তোমার নাকের ভাঁজে চিন্তা নামের কায়া
বন্ধু আমার মন ভাল নেই, তোমার কি মন ভাল?
বন্ধু তুমি একটু হেসো, একটু কথা বলো
বন্ধু আমার বন্ধু তুমি বন্ধু মোরা কজন,
তবুও বন্ধু মন হলো না আপন
......................................
বন্ধু তোমার বন্ধু আমি বন্ধু মোরা কজন,
তবুও বন্ধু ভাসি নাকো, আঁকি নাকো স্বপন

 ///////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
 > জীবন মানে যুদ্ধ,
যদি তুমি লড়তে পারো।
> জীবন মানে সংগ্রাম,
যদি তুমি করতে পারো।
> জীবন মানে খেলা,
যদি তুমি খেলতে পারো।
> জীবন মানে স্বপ্ন,
যদি তুমি গড়তে পারো।
> জীবন মানে কষ্ট,
যদি তুমি সইতে না পারো।
> জীবন মানে পরোপকার
যদি বুক ঝাঁজরা করতে জানো
> জীবন মানে স্তব্ধতা,
যদি তুমি বলতে না পারো।
> জীবন মানে হারিয়ে যাওয়া,
যদি তুমি ধরে রাখতে না পারো।
> জীবন মানে ভালোবাসা,
যদি হৃদয়হীন হতে পারো।
> জীবন মানে জীবন,
যদি তুমি বুঝতে পারো।
> জীবন মানে বিস্বাদ
যদি ভালবাসতে জানো
> জীবন মানে অবহেলা
যদি উপকার করতে জানো
মন্তব্য(গুলি) | | Read More...

আমার মুক্তি নেই

তারা তোমার মৃতদেহ 
বয়ে নিয়ে গেলো কাঁধে

বৃষ্টির রাতে গোর খুঁড়লো তারা
তোমার পবিত্র শরীর নামালো কবরে
তারা তোমার আত্মার নামে
প্রার্থনা করলো
তোমার উপর ছড়িয়ে দিলো 
কালো তাজা গোলাপ

তোমার মৃত্তিকা ঘিরে তারা
তুলে দিলো শাদা দেয়াল
লিখলো এপিটাফ—
'পাপ করোনা'

তারা তোমার মৃতদেহ
বয়ে নিয়ে গেলো কাধে
তারা মুক্তি পেলো

আমি তোমার মৃতদেহ
বহন করে চলি বুকে
আমার মুক্তি নেই

আমি তোমার চোখ
বহন করে চলি বুকে
আমার শান্তি নেই

মন্তব্য(গুলি) | | Read More...

পৃষ্ঠাসমূহ

Blogger news

About

Blogroll

 
Copyright © 2015. 7Star Friendship . All Rights Reserved.
Support by creating website | Powered by SAFI ULLAH